অন্যায়ের বিরুদ্ধে গণজাগরণ জরুরি কারণ এটি সমাজের নৈতিকতা, ন্যায়বিচার এবং সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন অন্যায় হয় এবং মানুষ চুপ থাকে বা প্রতিরোধ করে না, তখন সেই অন্যায় আরও শক্তিশালী হয় এবং সমাজে আরো বেশি ছড়িয়ে পড়ে। গণজাগরণ মানুষের সম্মিলিত প্রতিরোধের মাধ্যমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সঠিক অবস্থান গ্রহণ করে এবং এটি একাধিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ:
- ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা: অন্যায়ের বিরুদ্ধে গণজাগরণ মানুষকে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সুযোগ দেয় এবং সমাজে ন্যায়বিচারের দাবি উত্থাপন করে। এটি অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
- অধিকার রক্ষা: গণজাগরণ মানুষকে তাদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য সচেতন করে তোলে এবং অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
- অত্যাচার ও নিপীড়নের প্রতিরোধ: অন্যায়কারী বা দমনকারী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে গণজাগরণ অত্যাচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে একটি কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে।
- সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন: যখন মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে আওয়াজ তোলে, তখন সমাজে পরিবর্তনের ঢেউ সৃষ্টি হয়। এটি একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে সহায়তা করে, যেখানে সবার সমান অধিকার এবং সুযোগ থাকে।
- দুর্নীতি এবং অবিচার প্রতিরোধ: গণজাগরণ দুর্নীতি ও অবিচারের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে। এটি সরকারের বা ক্ষমতাশালীদের অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে জনগণের শক্তি প্রদর্শন করে।
- ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উদাহরণ: অন্যায়ের বিরুদ্ধে গণজাগরণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ন্যায়পরায়ণতা, সাহস, এবং সম্মিলিত প্রতিবাদের শক্তির শিক্ষা দেয়।
এগুলোই মূল কারণ যে কেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে গণজাগরণ জরুরি, কারণ এটি সমাজকে ন্যায়পরায়ণ, সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠু রাখার একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া।